বাবুসোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী দীপার মৃত্যুদণ্ড

রংপুরের আইনজীবী রথিশচন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনাকে হত্যার মামলায় তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা দীপা ভৌমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় এই মামলার একমাত্র জীবিত আসামি নিহত বাবু সোনার স্ত্রী দীপা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।

বাবুসোনা ও দীপার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়ায় বাবুসোনার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে তার লাশ বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমীন মুক্তার আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আল-আমিন। পরে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। ওই বছরের ২১ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচারকাজ শুরু করেন বিচারক। মামলায় মোট ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এর পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।

এর আগে বাবুসোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিক বলেছিলেন, ৩০ মার্চ ভোরে নগরীর বাবুপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে শহরের দিকে রওনা হন বাবুসোনা।

বাবুসোনা যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষী ছিলেন বলে সন্দেহের তীর যায় জামায়াতে ইসলামী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকে। পরে দীপা ও তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

দীপা ও কামরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য বাবুসোনাকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

দুই আসামিই তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে কামরুল গত ১০ নভেম্বর মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।

আজকের বাজার/এমএইচ