বারি’র বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতসহ ১,২৯০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতসহ ১ হাজার ২৯০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এরমধ্যে ৬৫০টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষোপযোগী জাত এবং ৬৪০টি অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তি রয়েছে।

আজ ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৩” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে আরো জানানো হয়, এ সকল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাই-বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূিচ গ্রহণ করাই এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। কর্মশালার কারিগরি অধিবেশনসমূহ আগামী  পহেলা  আগস্ট ২০২৩ হতে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০২২-২০২৩ সনে যে সকল গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী ২০২৩-২০২৪ সনে গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি বলেন, খোরপোষের কৃষি এখন বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া, বর্ধিত জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান আবাদী জমির পরেও বাংলাদেশের কৃষির সাফল্য ঈর্ষণীয়। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তে দেশ আজ খাদ্যে স্বনির্ভর হয়েছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ , বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এবং জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক জনাব মাহমুদুল হাসান আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স¦াগত বক্তব্য রাখেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বারি’র গবেষণা কার্যক্রম ও সাফল্যের উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ। (বাসস)