বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘হরর বা ভৌতিক সিনেমায় দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়। বিএনপি যেভাবে মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাতে করে এসব বিএনপি’র বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভি’র মতোই বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলছে’ এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যতদিন তারেক রহমান তাদের নেতা থাকবে ততদিন বিএনপির কোনো সম্ভাবনা নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকী বিএনপি’র নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।’
ঈদকে সামনে রেখেও কিছু অসাধু সিন্ডিকেট চক্রকে সরকার কঠোরহস্তে দমনে বদ্ধপরিকর এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভুমিকা রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো পণ্যের দাম বাড়লে যেমন প্রচারিত হয়, দাম কমলে সেটিও গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া দরকার।
কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান:
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুঠ, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে -এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য চাইলে ড. হাছান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের সাথে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। আপনারা দেখছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে পরিবারের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে আলোচনা-চাপসহ সর্বমুখী প্রচেষ্টা:
সোমালি জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনদের আবেদন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদুর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
দস্যুদের ওপর চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের ওপর নানামুখী চাপও রয়েছে। দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়, তবে এ ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
নাবিকদের ছুটির বিষয়টিও পরিস্কারভাবে তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাহাজে যারা চাকুরি করেন ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের ছুটি হয় না। তারা যান ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো, ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে তাদের পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিল না। (বাসস)