বিএনপি এখনও চরমপন্থীদের পৃষ্টপোষকতা করছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিএনপি রোমহর্ষক হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পর কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এতেই বোঝা যায় দলটি এখনো জঙ্গিবাদকে পৃষ্টপোষকতা করে যাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর এবং একই সাথে দুঃখজনক যে বিএনপি এখনও চরমপন্থী ও জঙ্গিবাদকে পৃষ্টপোষকতা করে যাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, দেশের সবাই এই ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। এই রায় শুধু দেশে জঙ্গিবাদকে সঙ্কুচিতই করবে না, বরং পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, কিন্তু বিএনপি এই রায়কে স্বাগত জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে করে আবারও প্রমাণিত হল তারা (বিএনপি) জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়ার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।

ড. হাছান আরো বলেন, ‘বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা জঙ্গিদের ব্যাপারে সব সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেন। এমনকি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করা।’

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে।
জঙ্গিরা প্রিজন ভ্যানে কিভাবে আইএস এর লোগো সম্বলিত ক্যাপ পড়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় আমি এই ইস্যুতে কিছুই বলতে চাই না।’ হাই কোর্ট প্রাঙ্গনে গাড়ির উপর হামলার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে ড.হাছান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম তারা (বিএনপি) ধ্বংস, ভাঙ্গচুর, সন্ত্রাসবাদ ও পেট্রোল বোমা হামলার রাজনীতি পরিত্যাগ করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাটি প্রমাণ করল তারা পরিবর্তন হয়নি এবং পরিবর্তন হবেও না।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি যদি সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা দেয়ার রাজনীতি বন্ধ না করে তবে তারা আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং অদূর ভবিষ্যতে তারা জনগণের শত্রুতে পরিণত হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে হাছান মাহমুদ বলেন, এটা আদালতের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু গাড়ি, জনগণের সম্পদ বা সাধারণ মানুষের উপর হামলা ও ভাঙ্গচুর চালিয়ে তাকে জেল থেকে মুক্তি করা কিছুতেই সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা তাকে মুক্তির দাবিতে জনসভা, মিটিং ও মানববন্ধন করতে পারেন। কিন্তু জনগণের উপর হামলা করা গণতন্ত্র নয়।’ তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান