বিএনপি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায় : বাহাউদ্দীন নাছিম

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামাত রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ রোববার মেহেরপুরের মুজিবনগরের ‘শেখ হাসিনা মঞ্চে’ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন।

বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, নয় মাস মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেয়েছি। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জামায়াত সেই স্বাধীন রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ওরা বিভিন্ন সময়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত ও দেশকে দেওলিয়া পরিণত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেরার কাজ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে সহ্য করতে পারেনা। তারা বাংলাদেশকে কিভাবে ছোট করা যায়, দেশের ভিতরে অরাজকতা, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত। সেই মিথ্যাচারের অংশ হিসেবে শ্রীলংকা নিয়ে মিথ্যাচার করছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রীলংকা কি কারণে দেওলিয়া হয়েছে তা সবাই জানে। একই ধরণের ঘটনায় অতীতে পাকিস্তানেও হয়েছে। তাদের দেওলিয়া হওয়ার পিছনে ছিল দেশ ও জনগণের স্বার্থের চেয়ে দূর্ণীতি ও দলীয়করণ। শ্রীলংকার অর্থনীতি দেওলিয়া হওয়ার পেছনে যে কারণ সেটি হলো তাদের অর্থনীতি পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তারা খাদ্য আমদানীর উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ সেটা নয়।

বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধি সমৃদ্ধি অনেক গুন শক্তিশালী। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে নয়, বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল। বাংলাদেশ ব্যাংকে বাংলাদেশের যে রেমিটেন্স জমা আছে তা ৪৫ মিলিয়ন ডলার।

বিএনপি জামাতের অপপ্রচারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কখনো শ্রীলংকা বানানো যাবেনা। বাংলাদেশকে কখনো পাকিস্তান ও আফগানীস্থান বানানোর কোনো স্বপ্ন যদি কেউ দেখে থাকে সেটা বাস্তবায়ন হবেনা।

নাছিম বলেন, খালেদা জিয়া দূর্ণীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। এতিম ও অনাথ শিশুদের অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনি সাজাপ্রাপ্ত। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক। তাই তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। যাতে তিনি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্যভাবে জীবন যাপন করতে পারেন।

বিশেষ অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশেষ করে জুন মাসের আগেই মুজিবনগর উন্নয়নের কাজ নতুন করে শুরু হবে। মুজিবনগর উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে চলে গেছে। আগামী সপ্তাহে একটি টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করেই নতুন করে কার্যক্রম শুরু হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে জনপ্রশাসন প্রতমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

শেখ হাসিনা মঞ্চে সমাবেশের আগে নেতৃবৃন্দ মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিজিবি, অঅনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গ্রাম প্রতিরক্ষা সাংস্কৃতিক দল আওয়ামী লীগের উন্নয়ন নিয়ে ‘জল, মাটি ও মানুষ’ শিরোনামে একঘন্টার গীতিনাট্য পরিবেশন করেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান