বিশ্বে করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫০৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার কমেছে। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৮ জনে পৌঁছেছে।

একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭৪ হাজার বেড়েছে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪৫ কোটি ৮১ লাখ ৫২ হাজার ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সোমবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ১৭৩ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ হাজার ৩৯৫ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। এ সময়ে রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৮৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮১১ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ১১৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮১১ জন মারা গেছেন।

এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ২৬৪ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৯৭ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ২২২ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯০৭ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আর্জেন্টিনায় ৬৫ জন, ইরানে ১১৮ জন, মালয়েশিয়ায় ৮৭ জন, ফিলিপাইনে ১৬৯ জন, চিলিতে ৯৪ জন, থাইল্যান্ডে ৬৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২০৩ জন মারা গেছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। খবর-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান