বিয়ে তো করতেই হবে, তবে…

সানিয়া সুলতান লিজা। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেখানকার যে ক’জন বিজয়ী নিজেদের গানের মাধ্যমে আলো ছড়িয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম। এ প্রতিযোগিতার পর থেকেই গানের জগতে দারুণভাবে সরব এ শিল্পী। নিয়মিত তাকে নতুন গানে পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, অডিওর পাশাপাশি চমকে ভরা বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতেও লিজার পারফরমেন্স প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানেও গান নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ত তিনি। বিশেষ করে দেশ-বিদেশের স্টেজ শোতে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন এ শিল্পী।

স্টেজ এবং নতুন গান নিয়ে এরই মধ্যে টানা ব্যস্ততা যাচ্ছে তার। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করছেন। একদিনে দু-তিনটি পর্যন্ত শোও করছেন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে? লিজা বলেন, খুব ভালো আছি। দিনকালও ভালো যাচ্ছে। তবে খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শো এর ব্যস্ততা এখন টানা চলছে।

তিনি বলেন, আসলে সারা বছরই শো থাকে। তবে শীতের মৌসুমে ব্যস্ততাটা বেড়ে যায়। এবার শীত যাওয়ার পরও শোর আয়োজন কিন্তু কমেনি। এই আয়োজন চলবে বর্ষা না আসা পর্যন্ত। অন্তত আমার শিডিউল তো তেমনই। আর টানা শো করতে খানিক ক্লান্তিতো লাগেই। তারপরও আমি মানিয়ে নিয়েছি। আর শ্রোতাদের সরাসরি ভালোবাসা পেলে সব ক্লান্তি ভুলে যাই।

লিজা বলেন, ক’দিন আগেই আমার ‘ভালোবাসি বলা হয়ে যাক’ এবং ‘আসমানী’ শীর্ষক দুটি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভালো সাড়া পেয়েছি এ গানগুলো থেকে। নতুন বেশ কিছু গানের পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলোও নির্দিষ্ট সময় পর পর ভিডিও আকারে প্রকাশ করবো। কারণ ভিডিও ছাড়া এখন গান সেভাবে বের হয়ে আসছে না। আশা করছি যে গানগুলোর পরিকল্পনা করছি সেগুলো শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

এক প্রশ্নের জবাবে লিজা বলেন, সর্বশেষ ‘গহিন বালুচর’ ছবিতে ইমন সাহার সুরে ‘তারে দেখি আমি রোদ্দুরে’ গানটি প্রকাশ হয়েছে। এ গানটির সাড়া অনেক ভালো পাচ্ছি। আরও বেশ কিছু ছবিতে গাওয়া হয়েছে। এখনো কয়েকটি প্রস্তাব রয়েছে। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে করে ফেলবো।

তিনি বলেন, সুখবর হলো এবার খুব ভালো শো আয়োজন হয়েছে। শিল্পীদের জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক। তবে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এই মুহূর্তে খুব ভালো নয়। হয়তো এই সময়টা কেটে যাবে। আসলে একটি সুবিধাও রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটে। আমি গানের স্বত্ব রেখে প্রকাশ করতে পারছি। এক্ষেত্রে সারা জীবন গানের স্বত্বটা আমার কাছে থাকছে। আবার গান প্রকাশ ও শোনাটাও সহজ হয়ে গেছে। ইউটিউবে গান সব থেকে বেশি শুনছেন ও দেখছেন শ্রোতারা। আমার মনে হয় এই ডিজিটালি গান প্রকাশে এখন আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি। যখন পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে যাবো তখন সুফলটা হয়তো আমরা পাবো। সেই প্রত্যাশাই করি।

লিজা বলেন, আমার একটাই পরিকল্পনা। ভালো গান গেয়ে যাওয়া। আমি গান কম প্রকাশ করলেও সেটার মান ঠিক রাখতে চাই। মানের ব্যাপারে আপোষ করতে রাজি নই আমি। সামনেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

বিয়ে সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে লিজা বলেন, সেটা আসলে বলতে পারছি না। তবে মানুষ যেহেতু বিয়েতো করতেই হবে। কিন্তু আমার বিয়েটা যে কবে নাগাদ হবে সেটা জানি না।

এস/