ব্যাংকিং খাতের সংস্কার বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জ:বিশ্বব্যাংক

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং খাতের সংস্কারকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার। যদিও এ নিয়ে বাজেটে কিছুই নেই।

২০ জুন মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এই মন্তব্য করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন,বাজেটে বাস্তবায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে সুপারভিশন, ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং পুঁজিবাজারের ব্যাংক এক্সপোজার বিষয়ে সঠিক কাঠামো তুলে ধরতে হবে; যাতে ঋণগুলোর পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশি বেশি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আর তারা বছরের পর বছর শুধু লোকসান করে যাচ্ছে। এখানে লোকসান কমানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। উল্টো এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে আরও মূলধন দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, জ্বালানির দাম স্থানীয়ভাবে নির্ধারণ না করে আর্ন্তজাতিকভাবে হওয়া উচিত। এতে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ সহজ হবে। ব্যাংকে আমানতের সুদের হারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে। কারণ মোট সুদের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেওয়া হয়।

এছাড়া চালের মূল্য কমাতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। আর আন্তর্জাতিকভাবে চাল সংগ্রহ করতে হবে; স্থানীয় চালের দরে সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশে উচ্চমূল্যে অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে (মহাসড়ক নির্মাণ) ব্যয় অনেক বেশি। বাংলাদেশের ৪ লেন রাস্তার জন্য আড়াই মিলিয়ন থেকে প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কিলোমিটার প্রতি খরচ হচ্ছে। সেখানে ভারতে এই খরচ ১ দশমিক ১ থেকে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। চীনে হচ্ছে ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। আর ইউরোপে হচ্ছে সাড়ে ৩ মিলিয়ন ডলার।

এসব প্রকল্পে খরচ বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলে এ ধরনের প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। আর যদি দুর্নীতি অনেক বেশি থাকে তাহলে এমনটি হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রকল্পের টেন্ডারিং প্রতিযোগিতা অনেক কম। এতে খরচ আরও বাড়ছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা দুর্বল থাকে তবে মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করেন তিনি।

এসময় বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানসহ শেখ তানজিব ইসলাম, সাবিহা সুবহা মোহনা, সেগুপ্তা শাহরিয়ার, মেহরিন এ মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২০ জুন ২০১৭