ব্ল্যাক কফি সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি কমায়!

ব্ল্যাক বা কালো কফি খান চিনি ছাড়া। কালো কফির গুণাগুণ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। দিনে অন্তত দু’বার কফি খেতে হবে। এক কাপ কালো কফিতে ২০ শতাংশ ভিটামিন, ১০ শতাংশ ক্যালোরি ও খনিজ রয়েছে। কারণ এই কালো কফিই আপনার হৃদরোগের ঝুঁকিসহ নানা সমস্যা দূর করবে। এমন কি কমিয়ে দিতে পারে ডিপ্রেশনে থাকা মানুষদের সুইসাইডাল টেন্ডেন্সিও!

মন সতেজ রাখে: কালো কফি খেলে মন সতেজ থাকে। যার ফলে মনে সব সময় খুশি বজায় থাকে। ক্যাফেন ও কিছু উপাদান ডিপ্রেশন কমিয়ে দেয় এই কফি। গবেষণা বলছে কালো কফি সুইসাইডাল টেন্ডেন্সিকে কম করে।

হৃদরোগ সারায়: কালো কফি হৃদরোগ সারিয়ে তুলতে বিশেষ সাহায্য করে। এমনকী হৃদরোগের সম্ভাবনাকেও কমিয়ে দেয়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: কালো কফি মস্তিষ্ককে আরো সচল থাকতে সাহায্য করে। যার ফলে স্মৃতিশক্তি অনেকখানি বেড়ে যায়। এছাড়া নার্ভকেও সচল রাখতে সাহায্য করে।

বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়: ক্যাফেইন থাকায় কফি মুড ভালো রাখে, এনার্জি বাড়িয়ে দেয় ও একইসঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস: কালো কফিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এক কাপ কফিতে থাকে ভিটামিন বি২, বি৩, বি৫, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি।

ডায়বেটিস রোধ: কালো কফি ডায়বেটিসের সম্ভাবনাকে কমিয়ে এটা রোধ করতে সাহায্য করে। এমনকী ডায়বেটিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষ কাজ করে।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়: নিয়মিত কালো কফি খেলে লিভার সুস্থ থাকে। গবেষণায় জানা গেছে যে এই কালো কফি লিভার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। এছাড়াও কফি, কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেক মাত্রায় কমিয়ে দেয়।

পেট পরিষ্কার রাখে: কফি খেলে ঘনঘন প্রস্রাব হয়। ফলে চিনি ছাড়া কফি খেলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন, ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের আকারে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে।

ওজন কমায়: চিনি ছাড়া কালো কফি খেলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমে। মেটাবলিজম রেট ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় ও একইসঙ্গে পেটে জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে যে ক্যাফিন থাকে তা আমাদের শরীরের মেদকে কমাতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে।

বয়স ধরে রাখে: অনেকদিন পর্যন্ত যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে চিনি ছাড়া কালো কফি। এছাড়া পার্কিনসনের মতো রোগকেও আটকাতে সক্ষম এই কফি।

আজকের বাজার/এএল