ভয়াবহ ভূমিকম্পের ছয়মাস পর আফগানরা পেল নতুন বাড়ি

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ছয়মাস পর বেঁচে যাওয়া আফগানরা নতুন বাড়ি পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২২ জুন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকায় ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে  এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত ও হাজার হাজার লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে।
গৃহহীনদের নতুন ঘর দেয়া হয়েছে। শ্রমিক রসুল বাদশাহ এ রকইম একজন। ভূমিকম্পে হারিয়েছেন মা, ভাইসহ আরো আত্মীয়-স্বজন। তিনি নতুন ঘর পেয়েছেন।
ঘর পেয়ে রসুল(২১) বলেন, আমি যখন এখানে এসে পৌঁছি তখন মা, ভাইয়েরাসহ প্রত্যেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে।
রসুল জানিয়েছেন, ওই সময়ে তিনি পাকিস্তানে কাজ করছিলেন। সেখান থেকে তিনি ছুটে এসেছিলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সহায়তায় স্থানীয় শ্রমিকরা ভূমিকম্পরোধী কংক্রিটের শত শত বাড়ি তৈরি করেছেন। যারা এতোদিন ধরে অস্থায়ী তাঁবুতে বাস করছিলেন এগুলো এখন তাদের দেয়া হচ্ছে।
রসুল আরো বলেন, আমরা এ বাড়িগুলো তৈরি করতে পারতাম না। আমাদের সন্তান কিংবা নাতি পুতিরাও পারতো না। আমাদের এ বাড়ি তৈরির সামর্থ্য নেই। আমরা কুঁড়ে ঘরে বাস করতাম।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, নতুন বাড়িতে সোলার প্যানেল, স্বতন্ত্র টয়লেট ও ঐতিহ্যবাহী হিটার রয়েছে যা তীব্র শীত মোকাবেলায় বাসিন্দাদের সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পের আঘাতে আগেই ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় চলছিল।
এছাড়া ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড প্রত্যন্ত পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত জনপদ ছিল।
বেঁচে যাওয়া অপর একজন বারা খান বলেন, ভূমিকম্পের পর লোকজন এসে দেখল এখানকার বাসিন্দাদের দুরাবস্থা। আমাদের একটি ক্লিনিক কিংবা স্কুলও নেই। এখানে সবাই নিরক্ষর।
শীত শেষে ইউএনএইচসিআর এ এলাকায় দু’টি স্কুল ও একটি ক্লিনিক নির্মাণ করবে।