ভারতের আসামে দীর্ঘতম রেলসেতুর উদ্বোধন

ভারতের আসামে দেশটির দীর্ঘতম রেলরোড সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতু ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ডিব্রুগড় এবং ধেমাচিকে যুক্ত করবে। খবর এনডিটিভির।

এই সেতুটি উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সূচনা করবেন তিনসুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের, যা সপ্তাহে পাঁচদিন চলবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সেতুটি এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেল ও সড়ক সংযোগকারী সেতু। যার জীবনসীমা প্রায় ১২০ বছর।

সেতুটির নিচের স্তরে দু’লাইনের রেল-ট্র্যাক রয়েছে। ওপরের স্তরে রয়েছে তিন লেনের রাস্তা, যা দিল্লি ও ডিব্রুগড়ের মধ্যে রেলপথে যাত্রার সময় প্রায় তিন ঘণ্টা কমিয়ে দেবে।

ইঞ্জিনিয়াররা জানায়, সম্পূর্ণ ঝালাইয়ের সাহায্যে এই রেলরোড সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে রেলরোড সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই কম হবে।

১৯৯৭ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া। কয়েক বছর আটকে থাকার পর ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল নির্মাণ কাজের সূচনা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী।

সেতুটির নির্মাণ কাজ দেরিতে হওয়ার কারণ সম্পর্কে মুখ্য স্থপতি মহিন্দর সিং জানান, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার জন্য নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই সেতুটির নির্মাণ কাজ চলত।’

৪.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করতে আনুমানিক ৫,৯০০ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের সময় প্রাথমিক বাজেট ছিল ৩,২০০ কোটি রুপি। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪.৩১ কিলোমিটার।

এই সেতুটি নির্মাণের ফলে দুর্গম আনজাউ, চাংলাং, লোহিত, দিবাং উপত্যকা, অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ এলাকার বাসিন্দারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

অরুণাচলের ইন্দো-চীন সীমান্তের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এই সেতুটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে। সেতুটি এতটাই মজবুত যে এর ওপর দিয়ে খুব সহজেই ট্যাঙ্কার যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া অবতরণ করানো যাবে যুদ্ধবিমানও। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ