ভুলের মাশুল গুনছে দেশ, ফেইসবুক-টুইটারে মাতম

ট্রাফিক কন্ট্রোলারের ভুলে ইউএস-বাংলার বিমানটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে এমন অভিযোগের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার আর ফেইসবুকে। ফেইসবুকে নিহত বাংলাদেশি যাত্রীদের ছবি ও পরিচয় আর শোকবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব নিয়ে চলছে মাতম।

কার দোষে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো সেই বিকর্ত নিয়েও সরগরম ফেইসবুক। অনেকেই দাবি করেছেন, বিমানটি পুরোনো ছিলো। এতো ছোট বিমান আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের শেষ কয়েক মিনিটের একটি অডিও বার্তা ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই অডিও বার্তা অনেকেই ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন।

বিমানবন্দরের রানওয়ের দক্ষিণ আর উত্তর দিকের সংকেত নিয়ে ভুল বোঝাবোঝির প্রমাণ মিলেছে অডিও বার্তাটিতে।

তাই বিমানটি এটিসির ভুল সংকেত নাকি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধান্বিত।

ফেইসবুকে জাহিদ আল অমিনের পোস্ট শেয়ার করেছেন ইমতিয়াজ ইমতু। সেখানে লে হয়েছে, ‘…..ফ্লাটের দরজাটায় তালা লাগানোর পরও আরো একবার হয়তো পরীক্ষা করে দেখেছিলো, সঠিকভাবে বন্ধ হয়েছে কী না! ……. বোর্ডিং পাস নিয়ে একটুখানি স্বস্থি! আরেকটু পরেই বিমানটি উড়াল দিবে।..কী চমৎকার সব প্রস্তুতি! …… প্রথমবারের মতো নেপালে বেড়াতে আসা কোন নববধু হয়তোবা তার মেহেদী রাঙা হাতখানি লাজুক ভঙ্গিতে পাশে বসা স্বামীর হাতে রেখেছিলো। …… চিৎকার করারও কোন ফুরসত মেলে নি! মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতির এতটুকুন সময়ও মিললো না! চোখের পলকে ঝরে গেলো উনপঞ্চাশটি তরতাজা প্রাণ।’

ফয়সাল আখতার ইথার নামে আরেকজন লিখেছেন, বিমান দুর্ঘটনার মূল কারণ বের করা একটি সময় সাপেক্ষ এবং অনেক সূক্ষ্ম পর্যালোচনার ব্যাপার। কারো পক্ষেই টাওয়ার আর এয়ারক্র্যাফট এর কনভারসেশন শুনে মূল কারণ বুঝে ফেলা বা ক্র্যাশ এর ছবি দেখেই কি ঘটেছিল বুঝে ফেলা অসম্ভব ব্যাপার।

আমার পরামর্শ থাকবে সব কিছু পড়া মাত্রই কনক্লুশন এ পৌঁছাবেন না। বিমান দুর্ঘটনা একটা চেইন অফ ইভেন্টের কারণে ঘটে। এই ইভেন্টগুলো আমরা আস্তে আস্তে জানতে পারবো সময় মতো। এখন গেসিং গেইম খেলার সময় না। শোকার্ত পরিবারগুলোর শোক অনুভব করার সময়। মন খারাপের সময়।

রেজওয়ানুল আলম লিখেছেন, ভুল যোগাযোগ বার্তায় বিমান দুর্ঘটনা এবং মর্মান্তিক প্রাণহানি।

এমআর/