ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক হস্তান্তরে বিলম্ব করা যাবেনা : ভূমিমন্ত্রী

ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থের চেক হস্তান্তরে যেন কোনো ধরণের বিলম্ব না হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
তিনি আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন।

ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ ও সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এছাড়াও জেলা প্রশাসকের অনুমোদন শেষে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থের চেক হস্তান্তর নিশ্চিত করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, আর্থ-সামাজিক ও শিল্প উন্নয়নসহ দেশের বৃহৎ স্বার্থে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জরুরী বিষয়। এ নিয়ে মনে কষ্ট থাকলেও দেশের উন্নয়নের জন্য সাধারণ মানুষ তাঁদের জমি দিতে রাজি থাকেন।
তিনি বলেন, তবে অনেক মানুষ হারায় তার শতবছরের পৈত্রিক ভিটে-বাড়ী, অনেকে হারায় পূর্ব-পুরুষদের সমাধি আবার অনেকে কৃষিজমি। এমতাবস্থায়, ক্ষতিপূরণের চেক পেতে বিলম্ব হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কেবল আর্থিক ক্ষতি নয়, মনস্তাত্ত্বিক আঘাতও।
অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সমাজের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করা দেশের স্বাভাবিক উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে, সেই সঙ্গে সরকারকেও বিব্রত করছে।

অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত ভূমি মালিকদের পদে পদে হয়রানিকারীদের বিরুদ্ধে টেকসই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন ভূমিমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর প্রক্রিয়া ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও অধিগ্রহণ করা জমির প্রকৃত মালিকদের ভোগান্তি কমাতে আইবাসের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, সর্বশেষ সার্ভে নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্য ব্যক্তি থাকলেও অনেক পদ ফাঁকা রাখতে হয়েছে। কারণ সার্ভে সংশ্লিষ্ট গ্রেডের পদে জেলা কোটা তথা জেলাওয়ারী পদ বিতরণের শতকরা হারের বাধ্যবাধকতা থাকায় এক জেলার জন্য প্রযোজ্য পদে অন্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
দেশের অন্যান্য প্রান্তে আরও সার্ভে ইনস্টিটিউট হলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যাবে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,  প্রয়োজনে আরও সার্ভে ইন্সটিটিউট স্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। (বাসস)