মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে বক্তব্য ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করায় গুতেরেসের দু:খ প্রকাশ

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের বিষয়ে তার দেওয়া বক্তব্যের ‘ভুল ব্যাখ্যা’ বুধবার প্রত্যাখান করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের ঐ মন্তব্য ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করায় তারা এই বিশ্ব সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
খবর এএফপি’র।
জাতিসংঘ প্রধানের এমন বক্তব্যের পর এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখান করেছেন এবং গুতেরেসকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেছেন, ‘জাতিসংঘের কোন কর্মকর্তাকে ইসরায়েলে প্রবেশের ভিসা দেওয়া হবে না।’
এদিকে ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে আমার কিছু বক্তব্যের ভুল উপস্থাপনে আমি হতবাক হয়েছি। এসব বক্তব্য এমনভাবে তুলে ধরা হয় তাতে যেন আমি হামাসের কর্মকা-কে সমর্থন দিচ্ছি।’
মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় জাতিসংঘ প্রধান আবারো ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে ‘আন্তজাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন হামাস এমনিতেই হামলা চালায়নি। যা আমরা গাজায় প্রত্যক্ষ করছি।’

বিশেষকরে ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করে এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হামাসের হামলা এমনিতেই ঘটেনি বলে স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ, ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের অধীনে রয়েছে।’
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১,৪০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারা হয়।

গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৬,৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশিরভাই নারীও শিশু। (বাসস ডেস্ক)