মন্ত্রীদের কথায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে আবারও আন্দোলনে রাবি শিক্ষার্থীরা

মন্ত্রীদের কথায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটার আন্দোলনকারীদেরকে নিয়ে মতিয়া চৌধুরির রাজাকারের বাচ্চা, অর্থমন্ত্রীর বাজেটের আগে কোটা সংস্কার নয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন কারীদের আটককরে রাখা এবং অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার দায়িত্ব না নেওয়া। এই ৪ টি ইস্যুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার পর আন্দোলনে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। কোটা সংস্কার কমিটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূর্বের স্থানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে মতিয়ার চামড়া তুলে নেব আমরা, মতিয়া তুই রাজাকার তুই রাজাকার, ইনুর কালো হাত গুড়িয়ে দাও দাও ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে। এছাড়া কোটা সংস্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা অবরোধ চলবে। তবে স্পষ্ট করে সড়ক অবরোধ করবেন কিনা জানান নি তিনি। এসময় সকলকে ভেদাভেদ ভুলে অন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’

অন্যদিকে দুপুরে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকারী উম্মে কুলসুম কণির কাছে আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের আগামীকালের কর্মসূচি জানিয়ে দিয়েছি। তারা আবারও আন্দোলন শুরু করেছে। আমরা সেখানে যারা ছিলাম তাদের সাথে বসে তাদের সাথে আন্দোলনে যাবো কি না সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে’।

এদিকে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে। যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

অন্তু/আরএম/