মানবতাবিরোধী অপরাধ: লিয়াকত-আমিনুলের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। এরআগে গতকাল রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পলাতক এই দুই আসামিদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এই মামলার প্রসিকিউটর ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন। তিনি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, আড়াই মাস আগে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছিল। সেদিন আদালত আদেশে বলেছিল যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে। সেই তারিখ দিল ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, লিয়াকত একাত্তরে ছিলেন মুসলিম লীগের কর্মী। আর আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন।

লিয়াকত আলী ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপরে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন থানা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ ঘটান এই দুই আসামি।

২০১৬ সালের ১৮ মে সন্দেহভাজন এই দুই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

শেষ পর্যন্ত তাদের পলাতক দেখিয়েই বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আদালত।

আজকের বাজার/এমএইচ