মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি কমেছে

২০১৭ সালের প্রথম পাঁচ মাসে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানি কমেছে। জানুয়ারি থেকে মে মাস সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটিতে থেকে পাম ওয়েল আমদানি কমেছে ৩৪ শতাংশ।

মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা গেছে চলতি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস সময়ে দেশটিতে থেকে মোট পাম অয়েল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৯ মেট্রিক টন। আর ২০১৬ সালের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৩১৪ মেট্রিক টন পাম অয়েল। আর ওই বছর মোট আমদানি হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৬ মেট্রিক টন পাম অয়েল।

তবে দেশের আমদানিকারকদের তথ্য মতে, চলতি বছর মে মাসে আমদানি তুলনামূলক অনেক বেড়েছে। রমজানে বাড়তি চাহিদার জোগান দিতে মে মাসে মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল আমদানি করেছে বাংলাদেশ। কেবল মে মাসে মালয়েশিয়া থেকে ৩২ হাজার ৬৭৭ টন পাম অয়েল আমদানি করেছে বাংলাদেশ। যা তার আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় প্রায় নয় গুণ। এপ্রিলে দেশটি থেকে পণ্যটি আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৮৩ টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছর সব ধরনের ভোজ্যতেলের চাহিদা ১৫ থেকে ১৮ লাখ টন। বিপুল চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদন হয় মাত্র দুই থেকে চার লাখ টন।

বাংলাদেশের আমদানিকারকরা সাধারণত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে বেশি পাম অয়েল আমদানি করে। আর্জেন্টিনা থেকেও কিছু পরিমাণে আমদানি করা হয় নিত্য প্রযোজনীয় এই পণ্যটি। আমদানিকৃত পাম ও সয়াবিন তেল পরিশোধনের পর বিপণন করা হয়।

তবে রমজানকে সামনে রেখে তেলের আমদানি বাড়লেও সাকুল্য হিসেবে তা খুবই কম। যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির করা ‘ওভারভিউ অব লোকাল মার্কেটস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গুণগত মানের পাম উৎপাদন ও সরবরাহকারী দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বাজার হারিয়েছে। কয়েক বছর আগেও দেশে পাম তেলের সিংহভাগ আমদানি করা হতো মালয়েশিয়া থেকেই। তবে কম দাম এবং ভিসাসহ ব্যবসায়িক ঝামেলা কম হওয়ায় আমদানিকারকরা ইন্দোনেশিয়ার দিকে ঝুঁকছে। বর্তমানে এ তেলের ৮২ শতাংশ আমদানি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে।

আজকের বাজার:এএন/এলকে/ ২১ জুন ২০১৭