মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা গেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা গেলে, দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বৃহস্পতিবার পিরোজপুর সদর  উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের সহায়তায় সরকার মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা ও জাটকা নিধন বন্ধ করাসহ ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। অতীতের তুলনায় ইলিশের আকারও বেড়েছে। একটি মা ইলিশ ৬ থেকে ৭ লক্ষ পর্যন্ত ডিম দেয়। একটি মা ইলিশ আহরণ করা মানে লক্ষ লক্ষ ইলিশ ধ্বংস করা। তাই মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এজন্য মৎস্যজীবীদের স্বার্থেই মা ইলিশ নিধন বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকার মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলায় এ সহায়তা পৌঁছে গেছে। এর আওতায় মোট ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮৭ টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে মোট ১৩ হাজার ৮৭২.১৮ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

এ সময় মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় কারো খারাপ পরামর্শ বা ভুল প্ররোচনায় কোনভাবেই মাছ ধরতে নদী বা সাগরে নামা যাবে না। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ করলে জেল-জরিমানার আওতায় আসতে হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। (বাসস)