মেসির জোড়া এ্যাসিস্টে আরো এক ফাইনালে ইন্টার মিয়ামি

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও লিওনেল মেসির অনুপ্রেরনাদায়ক  পারফরমেন্সে  সিনসিনাতিকে পেনাল্টিতে ৫-৪ গোলে পরাজিত করে ইউএস ওপেনে কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিয়ামি। উত্তেজনাপূর্ন সেমিফাইনাল ম্যাচটি নির্ধারিত সময় ৩-৩ গোলে ড্র ছিল।
গত শনিবার ন্যাশভিলকে পেনাল্টিতে পরাজিত করে লিগ কাপের শিরোপা জয় করার পর এই জয়ে  সপ্তাহের ব্যবধানে আরো একটি ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো মিয়ামি। গত মাসে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি যোগ দেবার পর দ্বিতীয় শিরোপা থেকে আর মাত্র একটি ম্যাচ  দুরে রয়েছে ডেভিড বেকহ্যামের মিয়ামি।

মেজর লিগ সকারের টেবিলে সিনসিনাতি শীর্ষে অবস্থান করলেও তলানিতে রয়েছে মিয়ামি। কিন্তু মেসি আসার পর বদলে যাওয়া ফ্লোরিডার দলটি এখন লিগেও এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখতে পারে। লিগে ১১ ম্যাচে জয়বিহীন থাকা মিয়ামি মেসিকে পেয়ে যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তাতে দলের অবস্থানের উন্নতি এখন সময়ের ব্যপার।

মেসির ও স্প্যানিশ জুটি সার্জিও বাসকুয়েটস এবং জোর্দি আলবাকে পেয়ে মিয়ামি টানা সাত ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে। কাল ওহাইওতে উজ্জীবিত সিনসিনাতির বিরুদ্ধে মিয়ামি দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিওে আসে। ২২ মিনিটের মধ্যে মিয়ামি ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। মেসির নিখুঁত পাসে স্ট্রাইকান লিওনার্দো কামপানার জোড়া গোলে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ১৮ মিনিটে মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ লুসিয়ানো আকোস্টার গোলে এগিয়ে যায় সিনসিনাতি। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাইকার ব্রেন্ডন ভাসকুয়েজ দারুন এক গোলে ৫৩ মিনিটে স্বাগতিকদের ব্যবধান দ্বিগুন করেন। কিন্তু ৬৮ মিনিটে বামদিক থেকে মেসির ফ্রি-কিকে কামপানা হেডের সাহায্যে বল জালে জড়ান। এতে অনেকটাই পরিশ্রান্ত জেরার্ডো মাটিনের দলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। স্টপেজ টাইমের সাত মিনিটে আবারো দলের ত্রানকর্তা হয়ে আবির্ভূত হন মেসি। তার এ্যাসিস্টে ইকুয়েডোরান ফরোয়ার্ড কামপানা গোল করলে ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।

বেঞ্জামিন ক্রেমাশির দারুন এক পাসে জোসেফ মার্টিনেজ এবার গোল করে মিয়ামিকে প্রথমবারের মত এগিয়ে দেন। কিন্তু জাপানিজ উইঙ্গার ইউয়া কুবোর ডান পায়ের কোনাকুনি শটটি ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি মিয়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার।
উভয় দলই পেনাল্টিতে প্রথম চারটি শট লক্ষ্যে পাঠিয়েছেন। এরপর নিক হাজলুন্ডের শট রুখে দেন ক্যালেন্ডার। বিপরীতে ক্রেমাশি গোল করে মিয়ামিকে ফাইনাল উপহার দেন।

মিয়ামিতে জন্মগ্রহণকারী ১৮ বছর বয়সী ক্রেমাশির বাবা-মা আর্জেন্টাইন। ম্যাচ উইনিং স্পট কিকের পর মেসি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ম্যাচ শেষে ক্রেমালি সিবিসি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমি একটি অনেক বড় স্বপ্নের মধ্যে বাস করছি। মাঝে মাঝে যখন একা থাকি তখন আমি আমার পজিশন নিয়ে চিন্তা করি। ঐ সময় আমার মনে হয় কি অসাধারণ মুহূর্ত আমি কাটাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমি যেখানে আছি তা কখনো চিন্তাও করিনি।’ (বাসস/এএফপি)