মেহেরপুরে গমের বাম্পার ফলন

মেহেরপুর জেলায় এবার গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও হুইট ব্লাস্ট রোগের ভয়ে এবার গমচাষ কম হয়েছে। তবে গতবারের চেয়ে এবার উৎপাদন বেড়েছে।

সরেজমিনে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা যায় ইতোমধ্যে গম কাটা এবং মাড়াই কাজ শুরুও করে দিয়েছেন কৃষকরা। সামনে কয়েকটা দিন আর কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আশা করা যায়, এবার গতবারের চেয়ে বেশি গম উৎপাদন হবে। এবার প্রতি হেক্টর জমিতে দুই দশমিক ৯ মেট্রিক টন হারে গমের উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতবছর ছিল প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৮ মেট্রিক টন হারে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলাতে স্বাধীনতা পরবর্তী ৮০র দশকে গম চাষ বৃদ্ধি পেতে থাকে। অনেক বছর অব্যাহত থাকার পর ২০১৫ সালে ব্লাস্ট রোগে গম আক্রান্ত হলে গমচাষ কমে যায়। এবার গমচাষ হয়েছে ২ হাজার ৮৪১ হেক্টর জমিতে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের গমচাষি নিজাবত হোসেন জানান- এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে গমচাষ করেছেন। এরই মধ্যে গম কাটা-মাড়াই শুরুও হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৯-২০ মণ হারে গমের উৎপাদন হচ্ছে।

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের গমচাষি তিব্বত হোসেন এর আগে এত ফলন কখনও দেখেননি বলে জানান। তিনি আরও বলেছেন- মাঠে গমের জমিতে গেলে সোনালী শীষ দেখে প্রাণ জুড়ে যাচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, মেহেরপুরে এবার স্মরণকালের গমে ফলন হচ্ছে। এবার গমের চাষ কম হলেও উৎপাদন বাড়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এবার বিঘা প্রতি ২০ মণ হারে গম উৎপাদন হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরই মধ্যে আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পক্ষে থাকলে গমের আর কোনো সমস্যা হবে না। ফলে কৃষকরাও ভালো ভালোই গমগুলো তাদের ঘরে তুলতে পারবেন।