যুক্তরাষ্ট্রে সিনেটর পদে বিজয়ী বাংলাদেশি চন্দন

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য জর্জিয়ার ডিসট্রিক্ট ৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে রাজ্যের সিনেটর প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে প্রাথমিক বাছাইপর্বে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনিই হতে যাচ্ছেন এই রাজ্যের আইন প্রণয়নকারী প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ভোটাভোটি অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শেখ রহমান চন্দন ৪ হাজার ২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কার্ট থমসন পেয়েছেন ২ হাজার ১১৭ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪ হাজার দুইটির মধ্যে শেখ রহমান ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের কোনো প্রার্থী না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনিই হবেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইতিহাস সৃষ্টিকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বাংলাদেশি সিনেটর।

নরক্রস, লিলবার্ন ও লরেন্সভিল শহর নিয়ে গঠিত এই এলাকায় গত ৮ বছর ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে কার্ট থম্পসন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। তবে এবার নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় সিনেটর পদটি দীর্ঘদিন পর হারাচ্ছেন তিনি।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শেখ রহমান এ বিজয়কে বাংলাদেশিদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে সব বাংলাদেশি ও এশিয়ান ভোটারসহ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক ও সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্যখাতে মেডিকেইড কর্মসূচি বৃদ্ধিসহ হেলথ কেয়ার ইনস্যুরেন্সকে আরও গ্রহণযোগ্য করার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা লাভের জন্যে আরও অধিকহারে সুযোগ সৃষ্টির দিকে তিনি নজর দেবেন বলেও জানান।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৃতিসন্তান শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন রিপাবলিকান পার্টির হাউস ককাস চেয়ারম্যান ম্যাট হেচেটের সঙ্গে লরেন্স, উইয়িলকিন্স ও থান্ডুলেন কাউন্টিতে এর আগে ২০১২ সালে জর্জিয়া স্ট্রেট রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রার্থী হিসেবে একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন।

তবে এবার মাত্র দুই বছর আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েও সকলের নজর কেড়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শেখ রহমান এ বিজয়কে বাংলাদেশিদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে সকল বাংলাদেশি ও এশিয়ান ভোটারসহ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক ও সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আজকের বাজার/ এমএইচ