রসিক নির্বাচনে জাপার প্রার্থী মোস্তফা

কাজী লুৎফুল কবীর:

রংপুর সিটি করপোরেশন(রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মহানগর জাপার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নাম ঘোষনা করেছেন দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল ৪ নভেম্বর শনিবার সকালে এ বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়,জাপা চেয়ারম্যানের বারিধারার বাস ভবনে রংপুরের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে।

এতে দলের কো চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের,মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রহুল আমিন হাওলাদার,স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ কেন্দ্রীয় এবং রংপুরের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে একই দিন সন্ধ্যায় এ বিষয় লিখিত এক আদেশে প্রার্থীতার কাগজপত্র মোস্তফার হাতে তুলে দেন দলের চেয়ারম্যান এরশাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর মহানগর জাপার সধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক লোকমান হোসেন, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কাজি মশিউর রহমান, রংপুর সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক ফারুক হোসেন মন্ডল, সাবেক ছাত্র নেতা আমিনুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মহিদুল ইসলাম , রংপুর মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ, সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছোট ও সাবেক ছাত্র নেতা আমিনুল ইসলাম লিখন (লম্বা)সহ আরো অনেকে ।

প্রার্থতা প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম মহাসিচব এস এম ইয়াসীর বলেন,দলে এখন কোন বিভেদ নেই। রংপুর জাপা এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেকে বেশি শক্তিশালী। তিনি বলেন,দলের চেয়ারম্যান আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেই সবার সঙ্গে আলোচনা করেই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাপা মেয়র প্রার্থ ঠিক করেছেন। যোগ্য ও গণমানুষের প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র প্রার্থী করেছেন। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,গতবার হয়তো ভুল তথ্যের কারণে আমাদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি ছিল,যার খেসারত আমাদের কিছুটা হলোও দিতে হয়েছে। কিন্তু ইনশাল্লাহ এবার আমরা সবাই এক সঙ্গে মাঠে নামছি,জয় নিয়েই ঘরে ফিরবো।

প্রার্থীতা প্রসঙ্গ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ প্রতিবেদককে বলেন,গতবারের ক্ষতিকে সামনে রেখে আমরা সবাই একসঙ্গে গণমানুষের জন্য কাজ করবো,আর সেই লক্ষ্যে পল্লীবন্ধুর নির্দেশে মাঠে নামছি,ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো।

এদিকে দলীয় একটি সূত্র জানায় গতবার দলীয় প্রার্থী হিসেবে দাবিদার সাবেক পৌর মেয়র মানিকও এবার প্রার্থী হবার চিন্তা-ভাবনা করছেন। রয়েছে তেমন প্রচারনাও। এরইমধ্যে তিনি বিভিন্ন মহলে প্রার্থীতা প্রসঙ্গ আলাপ-আলোচনাও করেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,আবারও যদি দলীয় প্রার্থীতা নিয়ে দ্বিমুখি নীতি অনুসরন করলে,আগের মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হবে জাতীয় পার্টি। তারা বলেন,এরশাদের চিন্তার জায়গা যদি স্থির থাকে এবং দলীয় ফোরাম থেকে একজনের বাইরে আর কোন প্রার্থী না থাকে তাহলে,ফলাফল জাপার পক্ষে যাবে। যা গতবারই যেতো,যা গত সিটি নির্বাচনের বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থীর ফলাফলেই বোঝা যায়।

তবে স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে,এরশাদের আগের অবস্থান এখন আর নেই। তারা বলেন,স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর ঘন ঘন মত প্লাটানো এবং জনগন স্ত্রোতের বিপরীতে অবস্থান করায় বার বার জাপাকে মাসুল দিতে হচ্ছে। তাদের মত এবারও তার বিপরীত হবে না।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৫ নভেম্বর ২০১৭