রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের তদন্ত বন্ধ না করায় কোমিকে বরখাস্ত

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চলমান তদন্ত বন্ধ করতে সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে অনুরোধ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই অনুরোধের পরও তদন্ত বন্ধ না করায় কোমিকে বরখাস্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওসব প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের যোগাযোগ বিষয়ে তদন্ত বন্ধ করতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোমিকে অনুরোধ করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। এরপরও তদন্ত বন্ধ না করায় গত সপ্তাহে কোমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করার পর বিতর্কের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।

রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন জেনারেল ফ্লিন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগের পরদিনই হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তদন্ত বন্ধের জন্য জেমস কোমিকে অনুরোধ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই তদন্ত বন্ধ করার জন্য ট্রাম্প অনুরোধ করার পর বৈঠক শেষেই একটি নথিতে এই তথ্যটি লিখে রেখেছিলেন সাবেক এফবিআই প্রধান কোমি। তবে সংবাদমাধ্যমের ওসব প্রতিবেদনে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউজ। তারা বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, জেনারেল ফ্লিন একজন ভালো মানুষ। দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করেছেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনোই ফ্লিন বা অন্য কারো বিষয়ে তদন্ত বন্ধ করার অনুরোধ করেননি।

ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার আগে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন মাইকেল ফ্লিন। ওই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। এ বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিলেন বলে ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

রাশিয়ার কাছে তথ্য ফাঁসের অভিযোগের পরই ফ্লিনের বিষয়ে তদন্তে বন্ধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। সমালোচকরা বলছেন, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ট্রাম্পের সহযোগীদের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের বিষয়ে যেকোনো তদন্তে বাঁধা সৃষ্টি করতে চান ট্রাম্প।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৭ মে ২০১৭