রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবায় অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক

মায়ানমার সরকারের নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে অর্থ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চাওয়া হয়েছে।

২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় বাংলাদেশে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি পারানিথাড়ান ও বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা মুকেশ চাওলা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক টাকা-পয়সা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বব্যাংককে ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করার অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার জন্য চিঠি দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য এই অর্থ আমরা চেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন বড় ধরনের অর্থায়ন করবে তারা। তবে কত পরিমাণ করবেন সেটা এখনও আমরা জানি না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থায়নের প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে দিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নেগোশিয়েট ইআরডি করবে। আজকের বৈঠকে প্রতিনিধি দলকেও বিষয়টি বলেছি। তারা খুব ইতিবাচক, আমাদের সাহায্য করবে বলে জানান জাহিদ মালেক স্বপন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের একটি বিষয় প্রয়োজন। সেটা হলো- মহামারীর জন্য আমরা কতটা প্রস্তুত। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের একটি গ্রেডিং পদ্ধতি আছে। সেই পন্থায় যারা যোগ্য তারা ৪ নম্বর পেয়ে থাকে। আমাদের নম্বর ২ দশমিক ৫।’

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট বুশরা বিনতে আলম বলেন, ‘মহামারীর সঙ্কটে সক্ষমতা অর্জনে অর্থায়নের যোগ্য হয়েছে বাংলাদেশ। যে ৭৫টি দেশ আইডাতে (বিশ্বব্যাংকের নমনীয় ঋণের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) আছে, সবাই কোয়ালিফাইড। চলতি বছরের জুলাই থেকে এই অর্থায়ন সহজলভ্য হয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। আমাদের ১২টিসহ বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩০টি মোবাইল মেডিকেল টিম ওখানে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আরও মেডিকেল টিম পাঠাব।

তিনি বলেন, সেখানকার উপজেলায় ৩০ ও ৫০ বেডের হাসপাতালগুলোকে অস্থায়ীভাবে ১০০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শিশুকে বিভিন্ন রোগের টিকা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা শিশু প্রবেশ করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি শিশুদের টিকা দেয়ার কাজ শেষ হবে।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭