রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চান বান কি মুন

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন শনিবার রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে ‘অবাধে ও নিরাপদে’ ফিরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চেয়েছেন।

রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে মিয়ানমারের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বান কি মুন।

কক্সবাজারে শিবিরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বসবাসের সুযোগ দেয়ায় তিনি বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসা করেন এবং জাতিসংঘের সংস্থা ও মানবিক সংগঠনগুলোকে তাদের সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

আগেরবার রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এর বর্ণনা করা সত্যিই অনেক কঠিন।’

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নসহ সকল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বৈশ্বিক এ চ্যালেঞ্জ সমাধানে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ দুর্দান্ত করছে।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব শুক্রবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন। যা জাতিসংঘ ছাড়ার পর চলতি বছর তার দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর।

জাতিসংঘের সাবেক প্রধান শনিবার বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম সমাবর্তনে অংশ নেবেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদেরও যোগ দিবেন।

বান কি মুন বলেন, তরুণ শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যতের নেতাদের সঙ্গে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কথা বলা ও কিভাবে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেন সে সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনার বিনিময় করে নেয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত বোধ করছি।

শনিবার তার সম্মানে আয়োজিত ব্র্যাকের এক মধ্যাহ্নভোজনে যোগ দেন তিনি।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিন্সেন্ট চ্যাং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বান কি মুন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা ছেড়ে যাবেন।

এর আগে গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘অভিযোজনের ওপর গ্লোবাল কমিশনের ঢাকা বৈঠকে’ অংশ নিয়েছিলেন। সূত্র:ইউএনবি

আজকের বাজার / ফজলুর রহমান