লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত

কঠোর লকডাউনেও পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে। আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে পুঁজিবাজারে। এ সময়ে প্রি-অপেনিং সেশন বন্ধ থাকবে এবং ১৫ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু থাকবে।

এর আগে লকডাউনেও ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শাখা খোলা থাকবে। ব্যাংকের নিজস্ব কার্যক্রম পরিচারনার জন্য তিনটা পর্যন্ত শাখা খোলা রাখা যাবে। এর আগে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অধিশাখার উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানানো হয়।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনায় সারাদেশে বৈদেশিক লেনদেন শাখা ছাড়া দেশের সব ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা আদেশের পর সারাদেশে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে সে কারনে, পুঁজিবাজারেও অনেকটা স্থবিরতা নেমে আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। বিশ্বের কোনও দেশেই লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ রাখার নজির না থাকলেও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে সমালোচনা বাড়তে থাকে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে এ সময়ে জেনারেল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা এডি শাখা ও নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকার শাখাগুলো খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, অথরাইজড ডিলার বা এডি শাখা ও নৌ, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকার শাখাগুলোর কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় শাখার আইটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোরে কার্যক্রম চলমান থাকবে। এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা, এই কয়দিন কী করা যাবে, বিশেষ ছাড়ে কী কী করা যাবে প্রজ্ঞাপনে তার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা আছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে করে মানুষকে ঘরে রাখা জরুরি। সবকিছু খোলা রেখে সেটা যেমন সম্ভব না, সব বন্ধ করলেও জীবন-যাপন ব্যাহত হবে। সে কারণেই প্রয়োজন বিষয়টিকে ফোকাস করা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া এসময় কোনওভাবেই ঘর ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।