শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করেছে সরকার

আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় এক হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।

সূত্র জানায়, এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে শিগগিরই অনলাইনে এমপিও-প্রত্যাশিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করবে মন্ত্রণালয়। এজন্য নতুন সফটওয়্যার তৈরির কাজ চলছে। আবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (মাধ্যমিক) নেতৃত্বে একটি কমিটির খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সারাদেশে কতগুলো স্বীকৃতি পাওয়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে এবং এর মধ্যে কতগুলো এমপিওভুক্ত হওয়ার মত অবস্থায় আছে, সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই এবং কমিটি গঠনসহ আনুষঙ্গিক প্রাথমিক কাজ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন সচিব।

সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, কত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে সেটা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে। কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে তার পুরোটাই নির্ভর করে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর।

যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের মাসিক বেতন -ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (শত ভাগ মূল বেতন ও কিছু ভাতা) দেয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান বলা হয়। আর ননএমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা পান না।

প্রসঙ্গত, নন-এমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ , মাদ্রাসা, ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা এগারো দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। লাগাতার কর্মসূচির পাশাপাশি তারা আমরণ অনশনে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আজ বুধবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার।

আজকের বাজার/ এমএইচ

“>