শিক্ষার্থীদের মারমুখী অবস্থানে পিছু হটল পুলিশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারমুখী অবস্থানে পিছু হটেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ সদস্যরা দোয়েল চত্বরের দিকে গিয়ে অবস্থান নেয়।

এরপর আন্দোলকারীরা বাংলা একাডেমির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা দোয়েল চত্বর থেকে শাহবাগ সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত আজ সোমবার সকাল থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই বিক্ষোভে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে। বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন।

এদিকে, ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক রাশেদ খান চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির চলমান আন্দোলনে পুলিশি হামলার বিচার ও আটকদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। এ অবস্থা যতক্ষণ চলবে, আমরা তাদের সহায়তা দেব। জনগণের জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে কোটা সংস্কার দাবিতে শাহবাগে জড়ো হয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের অবস্থানে রাত ৮ টার দিকে পুলিশ চড়াও হলে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে এই সংঘর্ষ পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। অনেককে আটক করে পুলিশ।

উল্লেখ, কোটা সংস্কারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া, চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া এবং চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।

আজকেরবাজার/আরএ/এস