শুল্কমুক্ত পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে ১১জন গ্রেফতার

শুল্কমুক্ত পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মো. শাহাদাত হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, মো. রুবেল আকন, মো. মাসুম, মো. মনির হোসেন, মো. রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, মো. শাহিন হাওলাদার, মো. আরিফ হোসেন, মো. সোহাগ ফরাজী, মো. নাজিম ও মো. কামাল হোসেন। এসময় তাদের কাছ থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানীকৃত ৫০৮ রোল চোরাই পর্দার কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার ।
তিনি বলেন, বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চোরাই পথে খোলাবাজারে বিক্রির করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড ও সাতরাস্তা মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
এসময় কাপড় বহনের কাজে ব্যবহৃত ৬টি কার্ভাড ভ্যান জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বন্ড সুবিধায় চীন হতে শুল্কমুক্ত এসব কাপড় আমদানি করে চট্টগ্রাম পোর্ট হতে ময়মনসিংহ (ভালুকা) হয়ে রাজধানীর সাতরাস্তা স্ট্যান্ড ও এ্যালিফেন্ট রোড এলাকায় নিয়ে আসে। এসব কাপড় অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশ্যে চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রি করতো। এতে করে সরকার প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়াও দেশের স্পিনিং, ওয়েবিং, ডাইং ও ফিনিসিং প্রতিষ্ঠান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতি অর্থ বছরে বন্ডের মাধ্যমে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশী শুল্ক ফ্রি সুবিধা প্রদান করে থাকে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী বন্ডের লাইন্সেস ব্যবহারের প্রধান শর্ত হলো বন্ডের পণ্য রপ্তানী ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য বিক্রি করতে চায় (সর্বোচ্চ ২০%) সেক্ষেত্রে বন্ড কমিশনারেট থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ ও বাণিজ্যিক শুল্ক প্রদান করতে হবে।
এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।