শেরপুরে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

Sherpur

শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাস থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

শনিবার রাতে নিহত আনুশকা আয়াত বন্ধনের (১৪) বাবা আনোয়ার জাহিদ বাবু মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।

এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি স্কুলের পরিচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

তারা হলেন- ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের পরিচালক আবু ত্বাহা সাদী, তার স্ত্রী নাজনীন মোস্তারি নুপুর ও বড় ভাই শিবলী।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী বন্ধনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মামলায় ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের পরিচালক, তার স্ত্রী ও এক ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব ছনকান্দা গ্রামের ওমান প্রবাসী আনোয়ার জাহিদ বাবুল মৃধার মেয়ে আনুশকা আয়াত বন্ধন (১৪) শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাসে থেকে লেখাপড়া করতো। শনিবার সকালে বন্ধনকে তার কক্ষে উড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সাথে ঝুলে থাকতে দেখে এক ছাত্রী চিৎকার দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন। তবে বন্ধনের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, তাকে (বন্ধনকে) হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

এ ঘটনায় বন্ধনের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।