শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ ভাগাভাগি

ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল। আর দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেলে শেষ ম্যাচেই নির্ভর করছিল সিরিজ ভাগ্য। স্বাগতিকরা ম্যাচটি জিতে নেওয়াতে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র হল। ফলে স্বাগতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাগাভাগি করতে হল ট্রফিটি।

শনিবার (০১ এপ্রিল) সিরিজের শেষ ম্যাচে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে (এসএসসি) স্বাগতিকদের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দল। ম্যাচটিত বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৮০ রান জমা করে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে এ সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮১। যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ওপেনিং জুটিতে মাঠে নামে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে ম্যাচের শুরুতেই হতাশ করে ব্যক্তিগত ৪ রানে বিদায় নিয়েছেনতামিম। এরপর ক্রিজে সাব্বির রহমান আসেন। তবে তিনি রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন। বাংলাদেশের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহমানও শূন্য রানেই ফিরেছেন সাজঘরে।

এরপর সৌম্য ও সাকিব মিলে জুটি গড়ে তুলেন। তাদের জুটি থেকে দলে ৭৭ রান আসে। তবে দলীয় ৮৮ রানে সৌম্যকে স্টাম্প আউট করে সাজঘরে ফেরান কুলাসেকারা। আউট হওয়ার আগে সৌম্যর সংগ্রহ ৪৪ বলে ৩৮ রান।

৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এরই মধ্যে সাকিব নিজের ক্যারিয়ারের ৩৪তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি তুলে সাজঘরে ফিরেছেন সাকিবও। তিনি ৭টি চারের মারে ৫৪ রান করেন। মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।

শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ একাই লড়াই চালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। তবে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পর তিনিও ফিরেন সাজঘরে।

এছাড়া মাশরাফি ১৬ এবং তাসকিন ১৪ রান করেন।

শ্রীলঙ্কার হয়ে একাই ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছেন নুয়ান কুলাসেকারা। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সুরাঙ্গা লাকমাল, সিকুজি প্রসন্ন ও দিলরুয়ান পেরেরা।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্বকভাবে ব্যাট করছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকা-থারঙ্গা ওপেনিং জুটিতে রঙ্কানরা স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান সংগ্রহ করে। অবশেষে এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে গুনাথিলাকাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। পরে ১৩.৪ ওভারে দলীয় ৮৭ রানে উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড আউট করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আউট হওয়ার আগে থারাঙ্গা ৩৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ৩৫ রান করেন।

দুই উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার রানের গতি কিছুটা কমে আসে। তবে মেন্ডিস চান্দিমালকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন। যা ভাঙতে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় মাশরাফিদের। কেননা এ সময় বেশ সতর্কভাবে খেলে চলছিল মেন্ডিস-চান্দিমাল। তবে দলীয় ১৩৬ রানে চান্দিমালকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন ও মুশফিক। এ জুটি থেকে দলে রান এসেছে ৪৯টি। আর ২টি চারের মারে ২১ রান করেন চান্দিমাল।

এছাড়া দলের হয়ে হাফসেঞ্চুরি (৫২) করেন সিকুজি প্রসন্ন এবং আসেলা গুনারত্নে করেন ৩২ রান।

বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি ৩টি ও মুস্তাফিজ ২টি উইকেট পেয়েছেন। আর ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মিরাজ ও তাসকিন।