আন্তর্জাতিক রীতি নীতি অনুসরণ করে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, উন্নয়ন ও প্রসারে ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বিল-২০১৭ এর খসড়া জাতীয় সংসদে উঠছে। ১৯৭৩ সালের ‘বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন অর্ডার’ বাতিল করে নতুন আইন করার জন্য বিলটি তোলা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান আজ ১১ জুন রোববার সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।
পরে এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ প্রসঙ্গে ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কাজের বর্ধিত পরিধি, দেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের আলোকে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা এবং পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন বাতিল ও সংহত করে নতুন আইন করা সমীচীন।
মন্ত্রী জানান, নতুন আইনটি হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত হবে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আইনটি করা আবশ্যক।
বিলে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠিত হবে। সরকার নির্ধারিত শর্তে তারা নিযুক্ত হবেন, চেয়ারম্যান হবেন সংস্থার প্রধান।
এই কমিশন খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরিবেশ ও শিল্পের ক্ষেত্রে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের প্রসার, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির নকশা ও প্রযুক্তি এবং ব্যবহারিক সামগ্রীর উন্নয়ন করবে।
