সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার দুই বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল হবে দেশনেত্রীর মুক্তি দাবিতে। বিক্ষোভ মিছিল হবে, সারাদেশে। বন্ধুগণ, আবারও বলছি, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তা না হলে আপনাদের কর্মকাণ্ডের জন্য আপনারাই দায়ী হবেন। জনগণের কাছে আপনাদেরই জবাবদিহি করতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অনেক কথা বলেছি। অনেক সভা করেছি। অনেক দাবি জানিয়েছি। নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখন আমাদের একটাই কথা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই। সরকারকে বাধ্য করব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে জনগণের সকল অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। ‘

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার দুই বছর পূর্ণ হওয়ায় শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরি, ইকবাল হোসেন মাহমুদ টুকু।

রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়া কারাগারে উল্লেখ করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকারের পতন ছাড়া স্বাধীনতা সার্বভৌম প্রতিষ্ঠা হবে না। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে।

দেশে চলমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দুইটি আন্দোলেনের দরকার উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘একটা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, আরেককটা জনগনের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এজন্য আমাদের কর্মসূচি দিতে হবে। কর্মসূচি আসবে। আজকে এখানে যারা আছেন, এরাই এই আন্দোলনের জন্য যথেষ্ট।’

তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনকে জনগনের মেয়র উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে। এদেশের মানুষ আবার প্রমাণ করেছে, এই সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নূন্যতম সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে এদেশ বাকশালমুক্ত হবে না। সুতারাং আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’

ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আসুন আমরা রাজপথে থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বিধিমালা ১০০ শতাংশ ভঙ্গ করেছে, আর বিএনপি শতভাগ বিধি মেনেছে।

দুপুরে সমাবেশ শুরু আগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে এসে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আজকের বাজার/এমএইচ