বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে, চারদিকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস। ব্যাংকের টাকা লুট হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। চারদিকে আজ দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। কোথাও শান্তি নাই। চারদিকে অশান্তি। এর থেকে দেশের মানুষকে বাচাঁতে হবে। জাতীয় পার্টিই পারবে দেশের মানুষকে বাঁচাতে।
শনিবার ২৯ জুলাই রাজধানীর ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথ সভায় সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এ সময় এরশাদ আরও বলেন, দেশের সব কিছুতে জট লেগেছে, উন্নয়নে জট, চাকরিতে জট, রাস্তাঘাটে জট, দুর্নীতিতে জট। এই জট খুলতে হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এই জট লাগিয়েছে। জাতীয় পার্টিই পারে এই জট খুলে দেশের মানুষকে শান্তি দিতে। তাই আগামী নির্বাচনে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে তিনি আহ্বান জানান। সরকার কথায় কথায় বলে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা তো দেখি এখন মহাসড়কে শুধু পানি আর পানি। পানি দিয়ে সরকার কি উন্নয়ন করছে তা তো দেশের মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সম্মিলিত জাতীয় জোটের ব্যানারে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা তিন’শ আসনে প্রার্থী দেবো। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে দেশের মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবে। ক্ষমতায় এসে আমরা আবারো দেশের মানুষকে শান্তি ফিরিয়ে দেবো। দুর্নীতি চিরতরে বন্ধ করবো। লুটপাট, সন্ত্রাস বন্ধ করবো। আগামী তিন মাস সারা দেশে জাতীয় পার্টি ও জোটের ব্যানারে সভা সমাবেশ হবে। শহর, বন্দর, গ্রামে গঞ্জে, পার্টিকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। এরপর আগামী নভেম্বর মাসে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন এরশাদ।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো: চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, আব্দুর রশিদ সরকার, সাহিদুর রহমান টেপা প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম, তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফ খান, আরমগীর শিকদার লোটন, আমির হোসেন এমপি, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সুলতান আহমেদ, সুজন দে, আব্দুর রাজ্জাকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজকের বাজার: আরআর/ ২৯ জুলাই ২০১৭
