সলিড-ফুয়েল চালিত ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উ.কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন দেশটির সর্বাধুনিক আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন গোয়েন্দা বিমান পিয়ংইয়ং গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দেওয়ার কয়েকদিন পর এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হলো। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম এই কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
বুধবার সলিড-ফুয়েল চালিত হাওয়াসং-১৮ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পর রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে হাসোজ্জল কিমকে উৎসাহের সাথে প্রশংসা করতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় তার স্ত্রী ও প্রধান সহযোগিরা এ নেতার পাশে ছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ পরিবেশিত খবরে বলা হয়, হাওয়াসং-১৮ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৬,৬৪৮ কিলোমিটার উপর দিয়ে ১০০১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পূর্ব সাগরে গিয়ে পড়ে। এটি আবার জাপান সাগর নামেও পরিচিত। সলিড-ফুয়েল চালিত নতুন ধাচের এই ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এরআগে গত এপ্রিলে পিয়ংইয়ং কেবলমাত্র একবার পরীক্ষা চালায় বলে জানা যায়।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন ধাচের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সারাবিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন।
সংস্থাটি জানায়, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও সিউল তাদের নীতির পরিবর্তন না করা পর্যন্ত ‘শক্তিশালী সামরিক অভিযান’ অব্যাহত রাখা হবে বলে কিম প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
কোরীয় উপদ্বীপের ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতির’ কথা উল্লেখ করে কিম উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করতে আরো জোরালো প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বানও জানান।
এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোয় দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে এবং কূটনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বুধবার এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর নিশ্চিত করে।
উত্তর কোরিয়ার এমন পদক্ষেপের জবাবে সিউল ও ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করে বলেছে, উস্কানিমূলক বিভিন্ন কর্মকা-ের কারণে পিয়ংইয়ং পারমাণবিক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখী হবে এবং ওয়াশিংটনের মিত্র দেশের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে দেশটির বর্তমান সরকারকে চরম মাশুল দিতে হবে।
সিউল বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে একটি উস্কানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে যা কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষতি করে।
খবরে বলা হয়, এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংকে নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকও করেছে
এদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ আরো অনেক মিত্র দেশ উত্তর কোরিয়ার এমন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।