সামিট এলএনজি টার্মিনালের ২৫% শেয়ার কিনছে মিৎসুবিশি

সামিট লিক্যুইফায়েড এলএনজি টার্মিনালের ২৫ শতাংশ মালিকানা কিনে নিচ্ছে জাপানভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মিত্সুবিশি করপোরেশন। দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠি সামিট গ্রুপ কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিট করপোরেশনের নির্মাণাধীন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এর এই টার্মিনাল নির্মাণ করছে।

শুক্রবার ইস্যুকৃত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।

সামিট এলএনজি মহেশখালী দ্বীপের উপকূল থেকে ৬ কিমি. দূরে সমুদ্রে একটি ভাসমান মজুদকেন্দ্র ও রি-গ্যাসিফিকেশন (তরল গ্যাসকে স্বাভাবিক গ্যাসে রূপান্তর) ইউনিট- এফএসআরইউ স্থাপন করছে। টার্মিনালটির নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের শেষার্ধে শুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের মার্চে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। টার্মিনালের পরিকল্পিত এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন লক্ষ্যমাত্রা প্রতি বছরে ৩৫ লাখ টন (এমপিটিএ)।

সামিটের ওই এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০-৫০ কোটি ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক ও সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এতে ইকুইটি অর্থায়ন করছে। এর মধ্যে জেনারেল ইলেকট্রিকের কাছে ২০ শতাংশ ও সামিটের কাছে ৮০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। এ প্রকল্প নির্মাণ শেষে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে সামিট গ্রুপ গত বছরের ৪ জানুয়ারি পেট্রোবাংলার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুসারে পএট্রোবাংলা সামিটের কাছ থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের বিনিময়ে দশমিক ৪৫ ডলার পরিশোধ করবে। চুক্তি অনুসারে ১৫ বছর পর পেট্রোবাংলার কাছে টার্মিনালটি হস্তান্তর করবে সামিট।