সিএনএ টেক্সটাইলের প্রতিবেদন দিতে আরও সময় চায় সিএসই

সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের পরিদর্শন প্রতিবেদন(ইন্সপেকশন রিপোর্ট)জমা দিতে আরও সময় চায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আরও দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে সিএসই। গত জুলাই মাসে অনুৎপাদনশীল তিন কোম্পানির কারখানা পরিদর্শনের অনুমতি পায় সিএসই। যার মধ্যে সিএসইতে ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির সি এন্ড এ টেক্সটাইল অন্যতম।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেজ্যুলেশন ২০১৫ এর ৫৪ (১)ধারা অনুযায়ী আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এই সময় চাওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই আবেদন করা হয় বিএসই বরাবর।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই সিএসই কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি পাঠায়।এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি অনুমোধনও দেয় সিএসইকে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে-সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেড, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও বীচ হ্যাচারি।
সিএসই সূত্র জানায়, কোম্পানিগুলো বার্ষিক সাধারণ সভা বন্ধ রেখেছে এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিবেদন স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিচ্ছে না। একারণে সিএসই কতৃপক্ষ কারখানা পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিএসইসি অনুমোধন দেয়।
জানা গেছে, সিএসইর আবেদনের মধ্যে রয়েছে কোম্পানিগুলোর সামগ্রিক বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের সাথে কোম্পানির অফিস এবং ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনে যাওয়ার অনুমতি পায় সিএসই।
এর মধ্যে এমারেল্ড অয়েল সিএসইকে জানায়, বেসিক ব্যাংকের ঋণ ঘাটতি সম্পর্কিত দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করার পর প্রতিষ্ঠানটি সমস্যার সন্মুখীন হয়েছে।
সিএসই সুত্রে, বর্তমানে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানমূলক রাজস্বের অভাবের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা সামান্য মাত্রায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালের এজিএম অনুষ্ঠান করেনি এবং ৩০ জুন, ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব বিবরনী জমা দেয়নি।
জাকির/আজকের বাজার