সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে প্রতিষ্ঠিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসা সেবার উৎকর্ষতার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতালে সবাই চিকিৎসা সেবা সুলভে পাবে সেটি আমরা চাই। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ কোটি টাকার দেওয়া ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসা সেবা দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনও যখন এই ব্যবস্থার সুফল ভোগ করা শুরু করল তখন বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিল। শুধু তাই নয়, তারা দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ)বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আমরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। সেটিও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল বিএনপি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের পেছনে নিজস্ব ৩ দশমিক ৮২ একর জমিতে দেশের প্রথম এ সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ হচ্ছে। অত্যাধুনিক এ হাসপাতালে মোট ১১টি সেন্টার থাকবে। ২০২১ সালে ১৩তলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে এক ছাদের নিচেই সবধরনের স্বাস্থ্য সেবা মিলবে।

সেগুলো হলো- কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার, স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি, এক্সিডেন্টাল ইর্মাজেন্সি, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, অনকোলজি, রেসপিরেটরি মেডিসিন।

২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় বিএসএমএমইউ -এর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পটির অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার ই.ডি.সি.এফ এর অর্থায়নে এ বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। যা দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে ৪০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে প্রথম ১৫ বছর ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ না করে পরবর্তী ২৫ বছরে তা পরিশোধ করা হবে।