সুশাসন ও জবাবদিহিতার হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সুফল বয়ে আনবে : প্রধান তথ্য কমিশনার

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক বলেছেন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ সুফল বয়ে আনবে।
তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তথ্য কমিশন ভবনে “তথ্য অধিকার আইন ও মানবাধিকার” শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
জনগণের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে তথ্য অধিকার আইনের অধিকতর ব্যবহার নিশ্চিতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে সিনিয়র সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দের অংশগ্রহণে এ আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ড. আবদুল মালেক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের মাধ্যমে জনগণের যে অধিকার দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাস করেন।
তিনি বলেন,  সরকারি অফিস, দপ্তর, সংস্থার পাশাপাশি বিদেশী অর্থপুষ্ট এনজিওসমূহের যাবতীয় তথ্যাদি সহজলভ্য ও সর্বজনের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা দরকার। জনগণের প্রত্যাশা পূরণকল্পে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ কার্যক্রম অত্যাবশ্যক।
প্রধান তথ্য কমিশনার আরো বলেন, বিশুদ্ধ ও প্রকৃত তথ্য জানার অধিকার সমাজের তথা জনগণের রয়েছে, অন্যদিকে বিকৃত তথ্য, মিথ্যাচার, বিদ্বেষ ও ঘৃণাপ্রসূত তথ্য প্রচার এবং গুজব রটনা সমাজদেহের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইনের সফল ও যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে  জনগণের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।

তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি বলেন, তথ্য মাত্রেই মানুষের অধিকার এবং সেটা মানবাধিকার বলেই স্বীকৃত। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তথ্যপ্রাপ্তিকে মানবাধিকারের স্বীকৃতি এ কারণেই দেয়া হয়েছে যাতে মানুষ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। বাংলাদেশে তথ্য কমিশন তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজটিই করে যাচ্ছে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা তথ্য অধিকার নিয়ে গবেষণা করার জন্য এনজিওসমূহকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ভূমি, সামাজিক সুরক্ষা, পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন প্রভৃতি বিষয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে তথ্য প্রকাশ বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের ফলে জনগণ তথ্য পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সাংবাদিকরা এই আইন ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, নতুন সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক, তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জনকূটনীতি) সেহেলী সাবরীন, বিএনএনআরসির সিইও এ এইচ এম বজলুর রহমান, এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর প্রমুখ। (বাসস)