স্বামীকে বেধে রেখে শ্বশুর-শাশুড়ির সহযোগিতায় গৃহবধুকে ধর্ষণ!

স্বামীকে বেধে রেখে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের সহযোগীতায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায়।

এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে ধর্ষিতা গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ির খোকসা গ্রামের এক যুবতীর সাথে ৪ বছর আগে বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামের এক যুবকের সাথে। বিয়ের পর থেকেই মেনে নিতে না পেরে শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামী নানাভাবে পুত্রবধূর ওপর নির্যাতন করতে থাকেন। পরিবারে তার উপর অত্যাচার লেগেই ছিল।

এরই একপর্যায়ে গত পরশু রাতে বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষনের এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামীর সহযোগিতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, গত পরশু শনিবার রাতে তার স্বামীকে তিনজন ধরে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে বেঁধে রাখে। তারপর আমাকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে তিনজন। এরপর ভোররাতে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর শাশুড়ি-ননদরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে বারণ করেন। শুধু তাই নয়, আমাকে ঘরে আটকে রাখেন।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে সোমবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ছয়জন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

আজকের বাজার/ এমএইচ