হাইকোর্টে বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা

বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়তির ঘটনায় দুর্নীতির মামলার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তা মামলার নথিপত্র নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

বুধবার (৩০ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে বেসিক ব্যাংক দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে গত ২৩ মে বেসিক ব্যাংক দুর্নীতিসংক্রান্ত ৫৬ মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছন হাইকোর্ট। তদন্তের সব নথি নিয়ে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই দিন আদেশ দেয়ার পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংকের অন্তত ৫৬ মামলার মধ্যে কয়েক মামলার আসামি ফজলুস সোবহান, শিপার আহমেদসহ কয়েকজনের জামিন শুনানিতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবালসহ সব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বুধবার হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে এসব মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেছে। এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যার জন্য তাদেরকে তলব করা হয়েছে।

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১-২৩ সেপ্টেম্বর ১৫৬ জনকে আসামি করে মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় মোট দুই হাজার ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

১৫৬ জন আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি এ মোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করে দুদক। পরবর্তীতে আরও মামলা হয়।

আজকের বাজার/ এমএইচ