হাভানা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০

হাভানার হোসে মার্তি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ১১৩ জন আরোহীর মধ্যে ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছ কিউবা সরকার। এর আগে গতকাল শনিবার এই হতাহতের সংখ্যা ১০০ জন বলে জানানো হয়েছিলো।

ক্যারিবিয়ান সাগরের এই দ্বীপ দেশে গত তিন দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শনি ও রবিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে কিউবা।

বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখনও বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে আলামত সংগ্রহ এবং নিহতদের শনাক্ত করতে কাজ করছেন। ওই ফ্লাইটের দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি মোটামুটি ভালো অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে। অন্যটিও শিগগিরই খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কিউবার পরিবহন মন্ত্রী।

রাষ্ট্রায়াত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা কিউবানার ওই উড়োজাহাজ রাজধানী হাভানা থেকে ১০৫ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু নিয়ে দ্বীপ দেশটির পূর্ব অংশের ওলগিনে যাওয়ার জন্য উড়াল দিয়েছিল। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১২টা ৮ মিনিটে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর এবং সান্তিয়াগো দে লাস ভেগাস শহরের মাঝামাঝি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে উড়োজাহাজের ধ্বংসস্তূপ থেকে দগ্ধ জারজনকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠান। তাদের মধ্যে তিন নারী এখনও বেঁচে থাকলেও সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

কিউবা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নিহত ১১০ জনের মধ্যে ৯৯ জন কিউবার নাগরিক। এছাড়া আর্জেন্টিনার দুইজন এবং মেক্সিকোর একজন পর্যটক, পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের দুইজন এবং মেক্সিকোর ছয়জন ক্রু রয়েছেন নিহতদের মধ্যে।

প্রায় ৪০ বছরের পুরনো বোয়িং ৭৩৭-৪০০ উড়োজাহাজটি মেক্সিকোর দামোজের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিল কিউবানা। কেন এ দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আজকের বাজার/ এমএইচ