হার কমে নতুন নামে আসছে আবগারি শুল্ক

আবারও ব্যাংক আমানতের ওপর বর্ধিত আবগারি শুল্ক কমানোর আশ্বাস দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একইসঙ্গে এর নাম পরিবর্তন করে ইনকাম ট্যাক্সের আদলে নতুন নামকরণ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ ১৮ জুন রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। এর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেও আবগারি শুল্ক কমানো হবে বলে জানিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আবগারি শুল্ক নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তাই জনগণকে আশ্বস্ত করছি, বর্ধিত আবগারি শুল্ক কমানো হবে।

এর আগে গত ১৪ জুন বুধবার ব্যাংক হিসাবে আরোপিত আবগারি শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, জাতীয় সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক আমানতের ফি’কে আবগারি শুল্ক বলা হচ্ছে; এটা মানানসই নাম নয়। এর নাম পরিবর্তন করে ইনকাম ট্যাক্সের আদলে নতুন নাম দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আর্থিক খাত নিয়ে বাজারে অনেক সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে বাজেট দেওয়ার পরে সমালোচনা উচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। যখন কোনো দুর্বলতা পাওয়া যায় না- তখন একটা কিছু বের করতে হয়। সেটা এবার সবচেয়ে বেশি হয়েছে। যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আবগারি শুল্ক আদায়; নামটা হয়তো ঠিক নেই। আমরা নামটা আমরা পরিবর্তন করবো। ইনকাম ট্যাক্সের আদলে কিছু একটা নাম দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক আগে থেকে আবগারি শুল্ক নেওয়া হচ্ছে। যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে- তারা এই শুল্ক দিচ্ছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে এই হার বেড়েছে; সঙ্গে সুযোগও বেড়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা থাকলেই দিতে হতো। এবার ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ফ্রি করে দিয়েছি। তারপরও এটা নিয়ে বাজারে খুব সমালোচনা হচ্ছে। আমি ইতোমধ্যে বলেছি, বাজেটতো প্রস্তাবিত। পাশ হওয়ার আগে এর অনেক কিছু পরিবর্তন হবে। আবগারি শুল্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। এটা সংসদে বলতে গেলে ২৮ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে স্বস্তি দিতেই আজ বললাম।

অর্থ পাচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, বেশ কিছু আইন বা বিধির কারণে কালো টাকা বাড়ছে। তাই অর্থ পাচার বন্ধে অর্থাৎ কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে আইন বা বিধির সংস্কারসহ বেশকিছু উদোগ নিয়েছে সরকার। যেমন: জমির এলাকাভিত্তিক মূল্য পরিবর্তন করে বাজারভিত্তিক মূল্যে জমি বিক্রির সুযোগ দেওয়া হবে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বর্তমান বিভিন্ন এলাকায় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে জমি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সরকারের নির্ধারিত মূল্য দেখিয়ে রেজিস্ট্রি হচ্ছে। এতে একদিকে সরকার প্রকৃত রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে জমির মালিক অর্থের প্রকৃত উৎস দেখাতে পারছে না।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৮ জুন ২০১৭