হোস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছত্রীরা

জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ও দিল্লির উপ-রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা। কিন্তু তার পরেও ক্যাম্পাসে থাকতে ভরসা পাচ্ছেন না ছাত্রছত্রীরা। হোস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছে অনেকেই।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ধনঞ্জয় সিং ছাত্রদের আতঙ্কিত হয়ে ক্যাম্পাস না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রনলয়ের কমূকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গতকাল হামলার পর ছাত্রী হোস্টেলের একাধিক ঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীদের হাতে মার খেয়েছেন বহু ছাত্রী। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গবেষণারত এক ছাত্রী সংবাদমাধ্যমে জানালেন, রবিবারের ঘটনার পর আর এখানে নিরাপদ মনে হচ্ছে না। হামলাকারীরা কুড়ুল নিয়ে হোস্টেলে হামলা করে।

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে বেশকিছু বহিরাগত। লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালানো হয় হস্টেলে। মাথা ফাটে স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। তাঁর মাথায় ১৫টি সেলাই পড়েছে। হামলায় জখম অধ্যাপক সুচরিতা সেন। এবিভিপি-র বিরুদ্ধে বহিরাগতদের নিয়ে হামলার অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি। সবরমতী হস্টেল, মাহি মান্ডভি হস্টেল ও পেরিয়ার হস্টেলেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, রড দিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পেটানো হয়।

হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাম ছাত্র যুবরা। এসএফআই শিবিরের অভিযোগ, মাফলার, আর মুখোশে মুখ ঢেকে এবিভিপি-র গুন্ডারা হস্টেলে ঢুকে পড়ে। তাদের কারো হাতে ছিল লাঠি, কারো হাতে রড, কারো হাতে আবার হাতুড়ি। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই চলতে থাকে মার।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান