১০ মাসে মায়ানমার থেকে ১৩,৪০০ টন চাল আমদানি

২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১০ মাসে মায়ানমার থেকে চাল আমদানি ঠেকেছে ১৩ হাজার ৪০০ টনে। মংডু বাণিজ্য অঞ্চলের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে চাল আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

মায়ানমারের উক্ত অর্থবছরে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার ৪২০ টন চাল রপ্তানি করা হয়েছে বাংলাদেশে। মায়ানামারের প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে বৃহত্তম রপ্তানি পণ্যের মধ্যে প্রথম চাল। এরপর দ্বিতীয় রপ্তানি সামুদ্রিক পণ্য আর তৃতীয় রপ্তানি পণ্য হচ্ছে তৈরি খাদ্য। রপ্তানিতে অন্যান্য শিল্পপণ্য গুলো হলো মিষ্টি, থানাকা, ( হলুদরঙের কসমেটিকম), ব্রণ রোধক ক্রিম, কম্বল, জুতা ও কফি মিক্স।মিয়ানমারের বুথিডং থেকে ট্রাকে করে মংডু বন্দরে চাল আনা হয় ও বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে অস্থায়ীভাবে রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

ওই বন্দরে অন্তত ১০০ জন শ্রমিক কাজ করে। একজন চাল ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সমুদ্রপথের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই শ্রমিকরাও স্বচ্ছল জীবনযাপন করতে পারে। মংডুতে ১০ জন চাল ব্যাপারি রয়েছেন। বাংলাদেশে তাদের প্রধান রপ্তানিকারক পণ্যগুলো হলো চাল ও তালের জ্যাম, শুঁটকি। আদা ও কসমেটিকসও রপ্তানি করা হয়।

ওই চাল ব্যবসায়ী বলেন, বাংলাদেশ যেতে ঘুরপথে ভাড়া করা ব্যক্তিগত মোটরচালিত নৌকায় চাল পাঠানো হতা। যাতে তিন দিন সময় লাগতো। আগের চেয়ে নৌপথ অনেক অনুকূলে রয়েছে। তাই আমরা ক্রমাগত রপ্তানি করে যাচ্ছি।

তিনি জানান, একবারে ২ হাজার বস্তা চাল বহন করা যায়। বাজার যেহেতু ভালো চলছে, আমরা মুনাফা করতে পারি।

বাংলাদেশে মায়ানমারের প্রধান রপ্তানিকারক পণ্যগুলো হচ্ছে চাল, আদা, সিল্ক, তুলা, পেঁয়াজ, মাছ, চিংড়ি, শুঁটকি, বাঁশ, বেত ও অন্যান্য শিল্প পণ্য। ২০১৬ সালে অক্টোবরে সহিংস হামলার পর বাংলাদেশ থেকে মংডু স্থলবন্দর কেন্দ্রে আসা আমদানি আটক করা হয়েছিল।

সেখানকার কর্তৃপক্ষের মতে, মায়ানমার ও বাংলাদেশের বাণিজ্য অঞ্চলগুলো সাধারণত নদীর জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে কানওয়াইন চং বাণিজ্য অঞ্চল বড় কারগো জাহাজের জন্য উন্নয়ন করা হচ্ছে।

আজকের বাজার:এলকে/ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮