২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ট্রাম্প অভিযুক্ত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার জন্য মঙ্গলবার অভিযুক্ত করা হয়। এর ফলে সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুতর আইনি হুমকি।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের জন্য এটি মার্চ থেকে তৃতীয় ফৌজদারি অভিযোগ এবং তার বিরুদ্ধে তিনটি ষড়যন্ত্র এবং একটি বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি গোপন তথ্যগুলাকে ভুলভাবে পরিচালনা করার অভিযোগে আগামী বছরের মে মাসে ফ্লোরিডায় বিচারের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে তার।
নতুন অভিযোগগুলো তিক্ত এবং বিভক্ত প্রেসিডেন্ট প্রচারাভিযানের শীর্ষে থাকা ট্রাম্পকে আরও আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগে ট্রাম্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র এবং একটি সরকারি কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে। ২০২১-এর ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের নির্বাচনে বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিয়োগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্পকে ওয়াশিংটনের একটি গ্র্যান্ড জুরি কর্তৃক প্রদত্ত ৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারণ, তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মিথ্যা দাবি করে আমেরিকান ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিলেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত অভিয়োগে বলা হয়েছে ‘নির্বাচনের দিনের কিছুক্ষণ পরে ৩ নভেম্বর, ২০২০ আসামী তার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন।’ ‘ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা দাবি করে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধ ফলাফলকে উল্টে দেওয়া।’
হেগের একজন প্রাক্তন যুদ্ধাপরাধের প্রসিকিউটর স্মিথ সাংবাদিকদের বলেছেন, ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের দিয়ে ক্যাপিটলে হামলা ছিল ‘আমেরিকান গণতন্ত্রের আসনে একটি নজিরবিহীন আক্রমণ।’ ‘মিথ্যা অভিযোগ এনে ট্রাম্প হামলায় ইন্ধন দিয়েছিলেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের একটি বেডরক ফাংশনকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে আসামীর দ্বারা মিথ্যাচার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ, গণনা এবং প্রমাণ করার দেশটির প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।