২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশ: আমু

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার আগামিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে ২০৪১ সালের আগেই দেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিসটিটিউশনের কনফারেন্স রুমে ৪৮ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে শুধু দেশে উন্নয়ন করেছে। আর এর আগে যারা সরকার গঠন করেছিল তারা শুধু ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। তারা দেশে কোনো উন্নয়ন করেনি। দেশে যত উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীনতার স্বাদ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেয়া দিচ্ছে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে কোনো অভাব নেই, খাদ্য নিরাপত্তা আছে। আজকের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবার জন্য আন্তর্জাতিক সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকেই আমরা এগিয়ে রয়েছি। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমাদের এই অগ্রযাত্রা এবং অর্জন আজকে শুধু হয়েছে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিল বলেই।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অন্যান্য সরকার একটানা ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। এরপর খালেদা জিয়া ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল। তাদের আমলে দেশের কোনো অর্জন নেই। তারা ক্ষমতায় গেছে শুধু ক্ষমতা ব্যবহার করার জন্য, আর শেখ হাসিনা সরকার শুধু দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

আমু বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেন, শুধু শেখ মুজিবের হত্যার বিচার করলেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে না। তিনি বিশ্বাস করেন, তার বাবার ডাকে যে ৩০ লাখ মানুষ স্বাধীনতার জন্য আত্মাহুতি দিয়েছে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে যদি স্বাধীনতার স্বাদ বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারে। তাই শেখ হাসিনা দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছে মানুষের ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেয়ার জন্য। আমাদের প্রত্যেকটি বড় বড় অর্জন হচ্ছে কারণ শেখ হাসিনার নিয়তে বরকত রয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন এর ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউল্লাহ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন শিবলু।

এস/