২৮ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

২৮ বছর-কম সময় নয়। এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দেখা পেল ইংল্যান্ড। রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চত করলো দলটি।। সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছালো ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হবে রাশিয়া অথবা ক্রোয়েশিয়া। চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত বারোটায় মুখোমুখি হবে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া। শুক্রবার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম।

আজ ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ইংল্যান্ড। ডি-বক্সের সামনে থেকে জোরালো শট নেন হ্যারি কেন। কিন্তু বল চলে যায় গোলবারের সামান্য পাশ দিয়ে। তবে, ৩০তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ইংলিশরা। গোলটি করেন হ্যারি মাগুইরি। ম্যাচে প্রথমবারের মতো কর্নার কিকের সুযোগ পেয়ে গোলটি করে তারা। কর্নার কিকটি নেন অ্যাশলে ইয়ং। কর্নার কিক উড়ে আসা বল হেড করে বল জালে পাঠান মাগুইরি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাগুইরির এটি প্রথম গোল।

বিরতি যাওয়ার আগে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ইংল্যান্ড। কিন্তু ৪৫তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি স্টার্লিং। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

বিরতির পর আক্রমণের গতি বাড়ায় ইংল্যান্ড। এতে ব্যবধানও বেড়ে যায়। ৫৯ মিনিটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডেলে আলি। এতে ০- ২ গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সুইডেন। পরে গোল পরিশোধে আপ্রাণ চেষ্টা করে সুইডিশরা। বেশ ক’টি দারুণ সুযোগও পায়। তবে স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি তারা। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

সামারাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। পুরো ম্যাচে ৫৮ শতাংশ সময় ধরে বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল ইংল্যান্ড। ৪২ শতাংশ সময় ধরে বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল সুইডেন। সুইডিশরা টার্গেটে শট নিয়েছে ৩টি। ইংল্যান্ড টার্গেটে শট নিয়েছে দুইটি।

সুইডেন এবার ২৪ বছর পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলল। সর্বশেষ তারা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ১৯৯৪ সালে। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে খেলেনি সুইডেন। বিশ্বকাপে সুইডেন এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে রানার আপ হয়েছিল সুইডিশরা

বিশ্বকাপে সুইডেনের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এটি প্রথম জয়। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এর আগে দুইবার সেমিফাইনাল খেলেছে। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংলিশরা। এরপর ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছিল ইংল্যান্ড।

আরএম/