২ মাসেই বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে চা রপ্তানি

চা রপ্তানিতে বিস্ময়কর গতি এসেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই পণ্যটির রপ্তানি আয় পুরো অর্থবছরের লক্ষমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ কোটি মার্কিন ডলার। তবে অর্থবছরের দুই মাসেই এ খাতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯৮৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

একইসঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ২ হাজার ৬৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ খাতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার।

গত বছরের একই সময়ে চা রপ্তানিতে আয় ৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এ হিসেবে এই খাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ২ হাজার ৬৭৫ শতাংশ।

চা বোর্ডের তথ্য মতে, গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চা রপ্তানি হয় ২০০২ সালে। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে পণ্যটি রপ্তানি হয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার কেজি। এর পর ২০০৩ সালে রপ্তানি কিছুটা কমে ১ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার কেজিতে নেমে আসে। ২০০৪ সালে কিছুটা বেড়ে বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার কেজি। ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে চা রপ্তানি এক কোটি কেজির নিচে নেমে আসে।

এর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চা রপ্তানি। তবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ধারাবাহিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে চলতি বছর চা রপ্তানিতে গতি এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ৪ মাসে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছিল ১৭ লাখ ৮৯ হাজার কেজি চা।

উল্লেখ, মৌলভীবাজারে ৯০টি, হবিগঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রামে ২২টি, সিলেটে ১৯টি, পঞ্চগড়ে সাতটি এবং রাঙ্গামাটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি করে চা বাগান আছে। বাংলাদেশে এ চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭