৪৩৫ কোটি টাকার পাটের বস্তা বিক্রিতে চুক্তি

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনকে (বিসিএসএ) ৪৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ কোটি ৬০ লাখ পাটের বস্তা সরবরাহ করবে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি)।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। এতে বিজেএমসির পক্ষে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সালেহ উদ্দিন এবং বিসিএসের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিএসের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. কামরুল হোসেন চৌধুরি। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আশ্রাফ আলী, হুসনুল মাহমুদসহ বিজেএমসি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ৫০ কেজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিটি পাটের বস্তার মূল্য ধরা হয়েছে ৪২ টাকা। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিসিএসএকে বস্তাগুলো সরবরাহ করবে বিজেএমসি।

এ সমঝোতা স্বারক এর মেয়াদ কেবল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। পরবর্তীতে এ সমঝোতা স্বারক উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে নবায়ন করা যাবে এবং বাজারদর অনুযায়ী পণ্যের মূল্য পুর্ণর্নিধারণ করা যাবে। তবে বিজেএমসি কারণ দর্শানো ব্যতীত ৩০ দিনের মধ্যে এ সমঝোতা স্বারক বাতিল করতে পারবে বলে শর্তে উল্লেখ আছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানান, বর্তমানে ২৮৫ ধরনের পণ্য দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সমঝোতা স্মারকে বস্তার নির্দিষ্ট পরিমাপ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিসিএসএ-এর আওতাধীন কোল্ড স্টোরেজগুলো বিজেএমসির আওতাধীন নিকটবর্তী মিলে বিড প্রদান করবে। সে অনুযায়ী মিল থেকে সেলস অর্ডার জারি করা হবে। মজুতকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মূল্য পরিশোধসাপেক্ষে সরবরাহ করা হবে এবং যেসব পণ্য উৎপাদন করা হবে, তার মোট পণ্যের ২৫ শতাংশ অগ্রিম মূল্য বিসিএসএ সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ দ্বিতীয় পক্ষের আওতাধীন বরাদ্দপ্রাপ্ত মিলে জমা করবে। এরপর মিল উৎপাদন শুরু করবে।

বিসিএসএ-এর আওতাধীন সংশ্লিষ্ট কোল্ডস্টোরেজ থেকে ২৫ শতাংশ অগ্রিম যেদিন পাবে, তারপর থেকে ক্রেতাকে ৩০ দিনের মধ্যে অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ পণ্যমূল্য বিজেএমসি সংশ্লিষ্ট মিলে জমা দিয়ে পণ্য  মিল গেট থেকে সরবরাহ নেওয়ার জন্য বিজেএমসি এর  সংশ্লিষ্ট মিল (বিসিএসএ)-এর সংশ্লিষ্ট কোল্ডস্টোরেজকে পত্র ইস্যু করবে। বিসিএসএ-এ সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ৩০ দিনের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করে পণ্য সরবরাহ নিতে ব্যর্থ হলে জমাকৃত ২৫ শতাংশ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে এবং বিজেএমসি-এর  সংশ্লিষ্ট মিল উক্ত পণ্য যেকোন ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারবে। এছাড়া পণ্য সরবরাহের বিষয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে উভয় পক্ষ আলোচনা করে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তা সমাধান করতে পারবে।

আজকের বাজার : আরএম/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮